top of page

জীবনভর কাদের কেমন অর্থভাগ্য..

  • ভাগ্যফল
  • Jun 17
  • 7 min read

অধ্যাপক ডঃ অসীম আচার্য্য চৌধুরী

(জ্যোতিষ মহামহোপাধ্যায় জ্যোতিষগুরু গবেষক)

ree

জীবনে চলার জন্য লক্ষ্মীলাভের যে প্রয়োজন আছে তা আমরা প্রতিটি সময় উপলব্ধি করি। জীবনে অর্থ না থাকলে একটা পাও ফেলতে পারি না। তাই জ্যোতিষশাস্ত্রে অর্থসম্পদ নিয়ে নানা প্রশ্ন এবং নানা দিক বিচার-বিবেচনা করা হয়। আমাদের অর্থাগম মূলত একাদশ ঘর লগ্ন থেকে বিচার করা হয়।


ধনসম্পত্তি লগ্নের দ্বিতীয় ঘর থেকে বিচার্য, কিন্তু আমাদের ধনসম্পদ বা আয় অর্থাৎ আর্থিক লাভ যদি ভাগ্যে না থাকে তবে তা আসে না। সুতরাং ভাগ্যস্থানকেও দেখতে হয় আর্থিক অবস্থা বিচার-বিবেচনার জন্য। অতএব এই তিনটি ঘরের গ্রহগত গুণ বিশ্লেষণ করে তবেই আমরা বুঝতে পারব আর্থিক উন্নতি কতটা হবে এবং কীভাবে হবে। এছাড়া আমরা জানবার চেষ্টা করি কোন দিক দিয়ে এই অর্থ আসবে। তার জন্য লগ্নের দশম ঘরকে গুরুত্ব দেব এবং বিবেচনার মধ্যে রাখব। একটা কথা মনে রাখা দরকার, একাদশ ঘরটি বিচারের মধ্যে অন্যতম।

ree

রাশিচক্রে এই একাদশ ঘরে কোনো শুভ গ্রহ বা অশুভ গ্রহ—যে গ্রহই থাকুক না, তুঙ্গীই হোক বা নীচস্থ হোক, এই ঘরে কোনোভাবে অশুভ প্রভাব ফেলে না। সুতরাং 12টি ঘরের মধ্যে একমাত্র ঘর যার অশুভত্বের প্রভাব কম। বিচারের ক্ষেত্রে ফলাদেশ কেমন হবে বিচার-বিবেচনা করে তবেই তার আয় নির্ণয় করা হয়। এই আয় বা লাভ যে শুধু আর্থিক দিকে হবে তা নয়, যেকোনো লাভকে নির্দেশ করে। সুতরাং আয় বা লাভ-এর ভাববিচার জন্মকুন্ডলীতে একাদশ ঘরকে নির্ধারণ করে লগ্নের থেকে।



কোনো কোনো ক্ষেত্রে চন্দ্র থেকে অথবা রবি থেকে নির্ধারিত হতে পারে। তবে কোনো দিক দিয়ে বিচার করতে গেলে অবশ্যই দশম ঘর নির্ধারিত হওয়ার প্রয়োজন আছে। যে ঘরের বিশ্লেষণ কর্ম, কর্ম কী, কীরকম তা জানিয়ে দেয়। অর্থাৎ কর্ম ঘর আয়ভাবকে প্রভাবিত করে, নবম ঘর ভাগ্য। ভাগ্য কীরকম তারও বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে। তাই লাভভাব বা আয়ভাব অনেকটাই ভাগ্য, কর্ম এবং দ্বিতীয় ঘর অর্থাৎ ধনস্থান অনেকটাই একাদশ ভাবের বিচার করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে আমরা ক্ষেত্র ধরে যদি জাতক বা জাতিকার রাশি বা লগ্ন ধরে বিচার-বিবেচনা করি তবে ভাব বিচারে—

ree

মেষরাশি-

একাদশের অধিপতি শনি। শনি যদি বলশালী হয়, তবে জাতকের প্রথমাবস্থা নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে গেলেও মধ্য বয়স থেকে ধীরে ধীরে ব্যাপক উন্নতি বা সাফল্যের যোগ সূচিত করে। যদি শনির অবস্থান বিশেষ ভালো না থাকে তবে জাতক বা জাতিকার চেষ্টার সঠিক মূল্যায়ন ঘটে না, যতটা প্রাপ্য ততটা প্রাপ্তি হয় না।

প্রতিকার : রত্ন—নীলা, মূল—শেতবেড়েলা এবং ধাতু—সীসা।


বৃষরাশি-

একাদশ ঘরের অধিপতি বৃহস্পতি। বৃহস্পতির শুভ প্রভাব বুদ্ধিমান, শিক্ষিত, বিচক্ষণ তৈরি করে। অল্প বয়স থেকে উপার্জনের যোগ আসে। জীবনে শিক্ষা বা শিক্ষামূলক দিকে যোগাযোগ এবং আকর্ষণ থাকে। বহু বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার সুযোগ থাকে। বৃহস্পতি বলশালী না হলে নানা বাধাবিঘ্নের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। জীবনে সংগ্রাম বাড়তে থাকে। জীবনে মসৃণতা থাকে না।

প্রতিকার : রত্ন—পীত পোখরাজ, মূল—বামনহাটি এবং ধাতু—স্বর্ণ।

ree

মিথুনরাশি-

একাদশপতি মঙ্গল। এই মঙ্গল শৌর্য-বীর্যের প্রতীক। মঙ্গল শুভ হলে এবং শক্তিশালী থাকলে সেনা, পুলিশ, নেতা, আমলা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পদাধিকারের মধ্য দিয়ে সাফল্যের যোগ। যদি মঙ্গল বলশালী না হয় তবে অলসতা, উদ্দীপনার অভাব, ভয় ভাব, লাজুকতা ইত্যাদি মানুষের সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

প্রতিকার : রত্ন—প্রবাল, মূল—অনন্ত এবং ধাতু—তামা।


কর্কটরাশি-

একাদশ ঘরের অধিপতি শুক্র। সৃজনশীলতা, গঠনমূলক কাজ, বিজ্ঞান, সাহিত্য চর্চা জীবনে সাফল্যের পথকে মসৃণ করে। মানুষের জীবনে গুপ্তবিদ্যা ইত্যাদির প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে। শিক্ষার মানকে বাড়ায়। এছাড়া অন্য শিক্ষায় পারদর্শী হয়। যদি শুক্র বলশালী না হয় তবে মানুষের জীবনে সজীবতার অভাব ঘটে। প্রেম-প্রীতির ক্ষেত্রে নানা বাধা থাকে, মানুষের নিজস্ব আকর্ষণ কমে।

প্রতিকার : রত্ন—হীরক বা জারকন, মূল—রামবাসক এবং ধাতু—প্ল্যাটিনাম।


সিংহরাশি-

একাদশ ঘরটির মালিক বুধ। বুধ যদি বলশালী হয় তবে জাতক হবে বিদ্বান, বুদ্ধিমান, ছেলেমানুষী, ভাবপ্রবণ, নীতিজ্ঞানী হয়ে থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্য বা পেশাগত দিকে তার আকর্ষণ থাকে এবং সাফল্য আসে। যদি বুধ শক্তিশালী না হয় তাহলে প্রতারণা, মিথ্যের আশ্রয় নেয়। নার্ভ ও আলার্জির সমস্যা, সন্তান বিষয়ে সমস্যা, হার্ট বা শাসকষ্টের সমস্যার যোগ থাকে। যদিও সফল ব্যবসায়ী বা সফল বদ্ধিজীবীর ক্ষেত্রে বুধের খারাপ ভাব উক্ত ব্যক্তিদের সাফল্যের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

প্রতিকার : রত্ন—পান্না, মূল—বৃহৎদারক বা বিদ্যাদারক। এবং ধাতু—দস্তা।

ree

কন্যারাশি-

একাদশ ঘরের অধিপতি চন্দ্র। চন্দ্র বলশালী থকালে মানসিকভাবে জাতক-জাতিকা আবেগপ্রবণ, পরোপকারী হয়। বৈদেশিক বাণিজ্য বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্য পায়। বিদেশ ভ্রমণ হয়। ঈশরের প্রতি অনুরাগ, দর্শনের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। যদি চন্দ্র শুভ না থাকে বা পীড়িত হয়, তাহলে অকারণে অতিরিক্ত চিন্তা, ভয়, গুপ্তশত্রুতা, অর্থব্যয়, জলবাহিত অসুখ, জলে ফাঁড়া ইত্যাদির যোগ থাকে। সদাই আতঙ্কভাবের যোগ থাকে।

প্রতিকার : রত্ন—মুক্তা, মূল—ক্ষীরিকা এবং ধাতু—শঙ্খ।


তুলারাশি-

একাদশ ঘরের অধিপতি রবি। রবি যদি কারো শুভ হয় তবে নাম, যশ, প্রতিপত্তির পাশাপাশি ইলেকট্রিক্যাল কাজ, অঙ্কশাস্ত্র ইত্যাদিতে সাফল্য আসে। এরা বুদ্ধিমান হয়, নিজের প্রতি আস্থা থাকে, চটজলদি কোনো বিষয় বুঝে নেবার ক্ষমতা থাকে। যদি রবির অবস্থান বিরূপ থাকে, তবে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অর্থ উপার্জন, সম্মান আহরণ। মানসিক চাপ, চোখ-নার্ভ-মস্তক সংক্রান্ত ব্যাপারে নানা সমস্যার যোগ সৃষ্টি করে, ব্যক্তিত্বের অভাব পরিলক্ষিত হয়।

প্রতিকার : রত্ন—চুনী, মূল—বিল্ব এবং ধাতু—তামা বা সোনা।


বৃশ্চিকরাশি-

একাদশপতি বুধ এখানে তিন ভূমিকায়। প্রথমত, তুঙ্গী, মূলত্রিকোণ, স্বক্ষেত্র। 150 পর্যন্ত তুঙ্গী 230 পর্যন্ত মূলত্রিকোণ এবং বাকি স্বক্ষেত্র বুধের ভূমিকার ওপর আর্থিক উপার্জন, ব্যবসা, বুদ্ধি, বিদ্যা সবই নির্ভরশীল। পেশায় সাফল্য এই বুধের ওপর নির্ভরশীল। অপরদিকে বুধের অশুভ অবস্থান নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বুদ্ধিভ্রম, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, ভুল সিদ্ধান্ত, বাচালতা, মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া, বাজি রাখা ইত্যাদিতে বুদ্ধি নাশ ইত্যাদির পাশাপাশি নার্ভ-অ্যালার্জি-শাসকষ্টে ভোগার সম্ভাবনা।

প্রতিকার : রত্ন—পান্না, মূল—বৃহৎদারক বা বিদ্যাদারক। এবং ধাতু—দস্তা।

ree

ধনুরাশি-

একাদশ ঘরের অধিপতি শুক্র। এখানে শুক্র স্বক্ষেত্রে শুধু নয়, মূলত্রিকোণ ঘর। সুতরাং শিল্প, সৃষ্টি, গঠনমূলক দিকে যেমন সাফল্যের যোগ, অপরদিকে শৌখিনতা, বিজ্ঞানচর্চা, সাহিত্য ইত্যাদি দিকে সাফল্য, সবই শুক্রের শুভ প্রভাবের ফল। অন্যদিকে শুক্র অশুভ অবস্থায় অবস্থান করলে কুৎসিৎ মন, পরনারী বা পরপুরুষের প্রতি আকর্ষণ, ভোগ, শিল্প-সাহিত্যের প্রতি বিরূপতা, প্রেমে ব্যর্থতা, যৌন অসুখ, মূত্রাশয়-দাঁত-কান-কিডনি-স্ত্রীরোগ ইত্যাদির সমস্যার যোগ থাকে। রোমান্স, আবেগ ইত্যাদি ব্যাপারে উদাসীনতা থাকে।

প্রতিকার : রত্ন—হীরক বা জারকন, মূল—রামবাসক এবং ধাতু—প্ল্যাটিনাম।


মকররাশি-

একাদশপতি মঙ্গল। মঙ্গলের এই ঘরের অবস্থানে নিস্প্রভ ভাব থাকায় মঙ্গলের অবস্থান এখানে গুরুত্বপূর্ণ। চতুর্থপতি ও একাদশপতির জন্য সুখ-শান্তি, মাতৃবন্ধুর দিক এবং একাদশপতি মঙ্গলের জন্য আর্থিক দিকের উন্নতিকে শুভ ধরা হয়। যেমন কাঠ, মাটি, ফাস্ট ফুড, ভেষজ, গাছপালা ইত্যাদি সংক্রান্ত ব্যাপারে যুক্ত ব্যক্তিদের সাফল্য আসে। অপরদিকে মঙ্গল অশুভ হেতু স্বাস্থ্যহানি, রক্তচাপের সমস্যা, সাহসের অভাব, উৎসাহের ঘাটতি, ভয় ভাব, মানুষের কাছে ছোট হওয়া ইতাদির যোগ থাকে। বিবাহিত জীবনেওকিছু সমস্যা আসতে পারে।

প্রতিকার : রত্ন—রক্তমুখী প্রবাল, মূল—অনন্ত এবং ধাতু—তামা।


কুম্ভরাশি-

একাদশপতি বৃহস্পতির স্বক্ষেত্র এবং মূলত্রিকোণের ঘর। এই ঘরে বৃহস্পতির বিশেষ ভাব আছে। বৃহস্পতির শুভ অবস্থানে শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে উপার্জন বিশেষভাবে আসে। এছাড়া অল্প বয়স থেকে উপার্জনের প্রতি ঝোঁক এবং আকর্ষণ থাকে। বৃহস্পতির শুভ অবস্থানে জীবনে আর্থিক কষ্ট আসে না। সম্পতির দিকে শুভ ফল দেয়। অন্যদিকে বৃহস্পতির অশুভ অবস্থান উপার্জন বা আয়ের ব্যাপারে নানা সমস্যার কারণ ঘটায়। শরীর সংক্রান্ত ব্যাপারেও অসুবিধা সৃষ্টি করে। শাসকষ্ট, লিভার, হার্ট, গলা ইত্যাদি সংক্রান্ত রোগে ভোগবার যোগ থাকে।

প্রতিকার : রত্ন—পীত পোখরাজ বা টোপাজ, মূল—বামনহাটি এবং ধাতু—স্বর্ণ।

ree

মীনরাশি-

একাদশ ঘরের অধিপতি শনি। শনি মীনরাশির পক্ষে শুভ থাকলে বিশেষ করে মধ্য বয়স থেকে শেষ জীবন পর্যন্ত আর্থিক দিক ভালো যাবে। জীবনে বহু সমস্যাকীর্ণ ক্ষেত্র থেকেও উপার্জন হয়। বিশেষ করে কেমিক্যাল, তেল, ওষুধ ইত্যাদি ব্যাপারে সাফল্যের যোগ থাকে। অপরদিকে শনির অশুভ অবস্থান জাতক-জাতিকাকে সারা জীবন নানা কষ্টের মধ্যে রাখে। প্রাপ্য অর্থপ্রাপ্তিতে বাধা কিংবা যোগ্যতা অনুযায়ী অর্থপ্রাপ্তিতে বাধা, যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন হয় না। এছাড়াও বড় বেশি হতাশা, অপমান, অবদমিত করে শনি। শনির অশুভ অবস্থান জাতক-জাতিকাকে চরম দারিদ্রসীমায় নামিয়ে দেয় এবং জীবনে চরম অশান্তির কারণ ঘটায়। সুতরাং উক্ত রাশির শুভাশুভের মধ্য দিয়ে আর্থিক, সামাজিক, কর্ম, মানসিকতার নানা প্রভাব ঘটে। উক্ত রাশির প্রতিকার বা প্রতিবিধান সব ক্ষেত্রেই অশুভ অবস্থায় গ্রহের অবস্থানের ওপর নির্ভরশীল।

প্রতিকার : রত্ন—নীলা, মূল—শেতবেড়েলা এবং ধাতু—সীসা।

ree

পরীক্ষায় সাফল্য : জ্যোতিষীরা ম্যাজিশিয়ান নন

শ্রীলেখা মহোপাধ্যায়

(গোল্ড মেডেলিস্ট)


চাণক্য বলেছেন ‘যারা রূপযৌবন-সম্পন্ন এবং উচ্চকুলজাত হয়েও বিদ্যাহীন, তাঁরা সুবাসহীন পলাশফুলের মতো বেমানান।’ আর স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন, ‘শিক্ষা হচ্ছে মানুষের অর্ন্তর্নিহিত সত্ত্বার পরিপূর্ণ বিকাশ।’


হ্যাঁ, মানবজীবনের সাফল্য লুকিয়ে আছে শিক্ষায় । পরীক্ষাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার অঙ্গ হিসাবে। জীবনের সব ক্ষেত্রেই পরীক্ষা দিতে হয় আমাদের। যে পরীক্ষার শুরুটা হয় জন্ম থেকেই। বেঁচে থাকাটাও কোনো পরীক্ষার থেকে কিন্তু কম নয়। তবে হ্যাঁ, জীবনের একটা বড় অধ্যায় হল শিক্ষা। পুঁথিগত শিক্ষা দিয়ে শিক্ষার জগতে আমাদের প্রবেশ হয় ঠিকই, ধীরে ধীরে সেখান থেকেই তৈরি হতে শুরু করে কর্মজীবনের শিক্ষার অধ্যায়গুলো। এখানে আলোচ্য বিষয় হল, পরীক্ষায় ভালো ফল কী করে হবে?


হবে না। একদিনে, এক সপ্তাহে, একমাসে হবে না। পৃথিবীর কেউ পারবে না কাউকে ভালো রেজাল্ট করে দিতে। নিজের কর্মদ্বারা জাতককে তৈরি হতে হবে সাফল্যের জন্য। হ্যাঁ, কোন পথে সাফল্য আসবে, অথবা সাফল্যের পথে কোন গ্রহ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কেন কোনো জাতক পড়া মনে রাখতে পারে না, কেন পড়াশোনা করেও ঠিকমতো রেজাল্ট পাচ্ছে না, সেদিকটা ঠিক করতে পারেন একজন জ্যোতিষী। কিন্তু জ্যোতিষী তাকে কিছু পাইয়ে দিতে পারবে না। জ্যোতিষীরা ম্যাজিশিয়ান নয়।

ree

জেনে রাখুন পড়াশোনার ক্ষেত্রে কেন সব ক্ষেত্রেই জাতক-জাতিকার সাফল্য বা অসাফল্য নির্ভর করে তার জন্মকুন্ডলীর ওপর। একেকজনের জন্মকুন্ডলী একেকরকম। এটা একটা বড় ফ্যাক্টর। কার কতটা সাফল্য আসবে তা নির্ভর করে তার ব্যাক্তিগত জন্মকুন্ডলীর ওপর। তবে হ্যাঁ, কিছু কমন সূত্র আছে যার দ্বারা অনেক কিছু বোঝা যায় । যেমন ধরুন কুন্ডলীর চতুর্থ ও পঞ্চম ঘর হল বিদ্যার ঘর। চতুর্থ হল নিচুস্তরের বিদ্যা, আর পঞ্চম হল উচ্চ বিদ্যার স্থান। এই চতুর্থ ঘরকে ভালো হতে হবে। কোনো বাজে গ্রহ থাকলে বা খারাপ, ক্রুর গ্রহের দৃষ্টি পড়লে বিদ্যায় বাধা আসবেই। তারপর পঞ্চম হল মেধার ঘরও। এই ঘরকে শুভগ্রহ দেখলে ভালো। যদি বৃহস্পতির কোনো কানেকশন থাকে এই ঘরের সঙ্গে তাহলে আরো ভালো। এরসঙ্গে শনির পজিশন দেখতে হবে। ষষ্ঠভাব দেখতে হবে, যেটা কম্পিটিশন-এর ঘর। এতকিছুর পর আসে সাফল্য, সাফল্য নির্ভর করে রবির ওপর। তাই তো সূর্যকে লাইট অফ লাইফ বলা হয় ।


একটা কথা বলতে পারি, পড়াশোনার ক্ষেত্রে চন্দ্রের ভূমিকাও কিন্তু অনেক। কারণ চন্দ্র হল আমাদের মন। পড়া মনে রাখা, পড়ায় আগ্রহ বা যা পড়ছি সেটাকে অ্যাপ্লাই করা—এগুলো চন্দ্র করে।

ছোটো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিকার করার কোনো প্রয়োজন নেই। তার ক্ষেত্রে তার বাবা মা প্রতিকার স্বরূপ কিছু করতে পারেন। কিন্তু অন্যান্যরা নিজেরা করবেন।


পড়া মনে না থাকলে জন্মছক কাউকে দেখিয়ে মুক্তো বা মুনস্টোন ধারণ করতে পারেন। অনেকসময় দেখা যায় জাতকের পড়ায় মন নেই, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে হৈহৈ করে বেড়ায়। তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু দেখা গেছে বুধের জন্য এমন ঘটে। তখন বুধের প্রতিকার করলে সুফল পাওয়া সম্ভব।

জানবেন বিদ্যার কারক গ্রহ হল বৃহস্পতি বা গুরু। এই বৃহস্পতির প্লেসমেন্টটা ভালো হওয়া দরকার। গুরুর সম্পর্ক যদি চতুর্থ, পঞ্চম বা নবমের সঙ্গে হয়, তখন দেখা যায় জাতকের পড়াশোনা ভালো হচ্ছে বা জাতক লেখাপড়া করতে চায়। সে সফলও হয়ে থাকে।


বিদ্যা যাতে ভালো হয় সেজন্য শৈশব থেকেই ব্যবস্থা নিতে হয়। শিশু অবস্থা থেকেই তার কানে সরস্বতীর বীজ মন্ত্র দেওয়া উচিত নিয়মিতভাবে। হাতেখড়ির সময় মধু দ্বারা বাচ্চার জিভে সরস্বতীর বীজ লিখে দেবেন। এতে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।


প্রতি রবিবার সূর্যদেবকে জল নিবেদন করতে হবে, সাফল্যের কথা মাথায় রেখে। এছাড়া কুন্ডলী কোনো অভিজ্ঞ জ্যোতিষ বিশারদকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন, কোন গ্রহের প্রতিকার প্রয়োজন সেটা জেনে সেইমতো ব্যবস্থা নিন। বিদ্যা ছাড়া জীবনে কোনো গতি নেই। তাই বিদ্যার স্থানে গোলমাল থাকলে তা ঠিক করে সাফল্যের দিকে এগোন।

 
 
 

Comments


Logo2.png

Address: 2A Mandeville Gardens. Kolkata 700019

Email :  vagyofal@gmail.com

Follow us on

  • Facebook

© Copyright 2025, All rights reserved by Suswastha Publication. Developed by Simpact Digital (Unit of Debi Pranam)

bottom of page