গ্রহ-প্রতিকার : সমাধান ও সমস্যা - দুটোই তৈরি করে!
- ভাগ্যফল
- Jul 16
- 6 min read
ড. জয়ন্ত তপাদার
(সনাতন কৃষ্ণমূর্তি, হস্তরেখা, সংখ্যাতত্ত্ব, বাস্তু ও হোরারী বিশেষজ্ঞ)

প্রতিটি সাধারণ মানুষ, যারা প্রতিকার গ্রহণ করেছেন কোনো না কোনো সমস্যায় পড়ে, তারা একবার অন্তত ভাববেন যে বিষয়টার গুরুত্ব কতটা গভীর। আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনারা এরকম ঘটনা অবশ্যই ঘটতে দেখেছেন যেখানে প্রতিকার ধারণ করার পর আস্তে আস্তে সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ হল। আবার এরকমও ঘটতে দেখা যায় যে সমস্যা থেকে মুক্তি লাভের আশায় কোনো জ্যোতিষ তান্ত্রিক ইত্যাদির কাছে গেলেন, সেই সমস্যার তো কোনও সমাধান হলই না, উপরন্তু যে সমস্যা ছিল না সেই সমস্যা যুক্ত হল। আর জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠল। এই অবস্থায় এই দিকভ্রষ্ট অসহায় মানুষগুলোর কেবলই মনে হয় যে এ জীবনে সুখ, শান্তি ফিরে পাওয়া যাবে না, বেঁচে থেকে লাভ নেই, জ্যোতিষ-তন্ত্র সব মিথ্যা ,কেউ কিছু পারে না সমাধান করতে। কিন্তু বন্ধু, বিষয়টি ঠিক তা নয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের বেশি প্রাচীন আমাদের জ্যোতিষ শাস্ত্র যা বেদের একটা অংশ। যে মহান প্রাজ্ঞ মুনি-ঋষিরা হাজার হাজার বছর ধরে বনে-জঙ্গলে, পাহাড়ের গুহায় বসবাস করে শুধুমাত্র মানব কল্যাণার্থে এই শাস্ত্র রচনা করে গেছেন তা কোনো অর্থ সম্পদ লাভের আশায় নয়। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন নানা সমস্যা থেকে যাতে তারা বেরিয়ে আসতে পারেন তার জন্য বহু কষ্ট সহ্য করে বহু আত্মত্যাগের মাধ্যমে রচিত হয়েছে জ্যোতিষ শাস্ত্র ও তন্ত্র শাস্ত্র। মহর্ষি ভৃগু, পরাশর, মহর্ষি জৈমিনি প্রভৃতি মহান মুনি-ঋষিদের কাছে তাই আমরা চিরকৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাদের দিক দর্শন করিয়েছেন তাঁদের শাস্ত্রের মাধ্যমে, তাঁদের শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই বিনম্র চিত্তে।

তাহলে এবার প্রশ্ন জাগবে, কেন তাহলে এইরকম সমস্যা দেখা দেয়? এবার তবে কিছু উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়। আজকাল আমরা টিভি, খবরের কাগজ ইত্যাদির দৌলতে প্রায়ই এই ধরনের অদ্ভুত ঘটনার খবর পেয়ে থাকি যেখানে দেখতে পাওয়া যায় যে কোনো কিডনি ফেলিওর রোগীর বাম কিডনি বাদ না দিয়ে ডান কিডনি কিংবা ডান কিডনি অপারেশন না করে সুস্থ বাম কিডনি অপারেশন করে বাদ দিয়েছেন সার্জেন। রক্ত পরীক্ষা না করে রক্ত দেওয়ার (ব্লাড ট্রান্সফিউশন) ফলে যে রোগটা ছিল না, যেমন জনডিস, ম্যালেরিয়া, এইডস ইত্যাদির মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে মানুষকে। যে চোখে ছানি অপারেশন করার কথা সেই চোখের অপারেশন না করে সুস্থ চোখের অপারেশন করা হল। এতে মানুষটির সারাজীবনের জন্য একটা চোখ নষ্ট হয়ে গেল। আবার এও দেখা যায় যে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে রোগীকে স্যালাইন দিতে গিয়ে রোগীর শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে এসে স্যালাইনের বোতলের দিকে উঠে যাচ্ছে।

এইরকম শত সহস্র ভুলভাল ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়। এইরকম প্রতিটা ক্ষেত্রে আমরা সবসময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদেরই দায়ী করে থাকি, কখনোই চিকিৎসা শাস্ত্রের দুর্নাম করি না। কারণ আমরা এটুকু বুঝি যে ওই ডাক্তার বা নার্স ভুল করেছে যা চিকিৎসাশাস্ত্রকে অনুসারণ করে না। যেখানে রোগীর রোগ নির্ধারণ ভুল হবে, সেখানে তার চিকিৎসাও ভুল হবে। অর্থাৎ রোগ নিরূপণ সঠিক হলে তার চিকিৎসাও সঠিক হবে, অন্যথায় বিপরীত হবে।
এবার তাহলে বলুন কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক জ্যোতিষ-তান্ত্রিক নামধারী বিভিন্ন অদ্ভুত বেশভূষাধারী ভন্ড লোভী লোকের লোভের কারণে যখন প্রতিকার কাজ করে না, তখন তার জন্য কি আপনি এই সুপ্রাচীন শাস্ত্রকে দোষারোপ করবেন? নাকি যারা এই শাস্ত্রটাকে শুধুমাত্র একটা লাভজনক ব্যবসা মনে করে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে তাদের অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে বয়কট করবেন? এটা শুধু আমি নই, যারা প্রকৃতই এই শাস্ত্রটাকে অধ্যয়ন করেছেন, ভালোবেসে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের জন্য খুবই যন্ত্রণার, খুবই হতাশার। কারণ এই কিছু সংখ্যক ভন্ড লোভী মানুষের অপকর্মের জন্য এই সুন্দর মানবকল্যাণকারী শাস্ত্রের নামে নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে আপামর জনসাধারণের কাছে।

সঠিক শাস্ত্রীয় প্রতিকার যে কত সুন্দরভাবে বিভিন্ন সমস্যা যেমন, বিবাহ নিয়ে সমস্যা, ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব, চাকরির সমস্যা, শত্রুতা, একের পর এক অপরেশন হয়ে যাচ্ছে, শারীরিক সুস্থতা কখনোই ফিরে পাওয়া যাচ্ছে নাএরকম আরও বহু জটিল সমস্যার সমাধান করে চলেছে তার ইয়ত্তা নেই। ঈশর তো এই কলিযুগে স্বয়ং ধরাধামে আবির্ভূত হয়ে দর্শন দেবেন না। কিন্তু কিছু ভালো মানুষ যারা প্রকৃতই সেবামূলক ভাবে সর্বসাধারণের জন্যে কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত তাদের মাধ্যমেই মানুষের কাছে সবসময় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। এখানে আমি জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে যে সুফল পেয়ে থাকি তা নিয়ে আলোচনা করছি না। আলোচনা করব প্রতিকার হিসাবে ধারণ করা ভুলভাল রত্ন, কবজ ইত্যাদি দিয়ে। আমার সুদীর্ঘ তিন দশকের প্র্যাক্টিস লাইফে দেখা বহু ভুলের মধ্যে কিছু ভুলভাল ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করছি।

উদাহরণ-1
সন্তানের মানসিক চঞ্চলতা দূর করার জন্য একজন সিংহ লগ্নের জাতককে মুক্তা পরানো হয়েছে। ফল সেই সন্তানের অবাধ্যতা আরও বহুগুণ বেড়ে গেছে। কারণ সিংহ লগ্নের দ্বাদশভাব (অশুভ ভাব) হল কর্কট। আর কর্কট রাশির অধিপতি গ্রহ হল চন্দ্র। আর মুক্তা হল চন্দ্রের কার্যকরী রত্ন। বোঝা গেল ভুলটা কোথায়! ঠিক একই ভাবে তুলা লগ্নের মানুষকে পান্না ধারণ করালে একই কুফল মিলবে। কারণ তুলা লগ্নের দ্বাদশভাব হল কন্যা। আর কন্যার অধিপতি গ্রহ হল বুধ। আর পান্না হল বুধের কার্যকরী রত্ন।
উদাহরণ-2
বেশ কয়েক বছর আগে আমার কলকাতার চেম্বারে একটি বছর তেইশের মেয়েকে তার মা নিয়ে আসে। মেয়েটির বিবাহ হচ্ছে না, এই সমস্যা নিয়ে। আমি মেয়েটির জন্মছক বিচার করে দেখি কিছু সমস্যা অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু বিবাহযোগ যে নেই তা নয়। মেয়েটিকে তথাকথিত প্রখ্যাত(?) এক জ্যোতিষী (সঙ্গত কারণেই নাম উল্লেখ করতে পারছি না) যার প্রোগ্রাম প্রায় প্রতিদিনই টিভির বিভিন্ন চ্যানেলে সভ্প্রচার হয়, আর খবরের কাগজেও ছবি সহ বিজ্ঞাপন বের হয়, মোটামুটি সব ধরনের গ্রহেরই রত্ন ও বেশ কিছু কবজ মেয়েটিকে পরিয়েছেন, তার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেছেন। আর ফলাফল শূন্য। সবশেষে একটা দামি চুনী পরিয়েছেন, আর এরপর থেকেই এই মেয়েটির কেবলই আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে বলে তার মা জানায়। এরপর আমি আর কোনো ঝুঁকি না নিয়ে ওই চুনী সমেত প্রায় সব পাথর ও কবচ খুলিয়ে দিই আমার চেম্বারেই। এক্ষেত্রে মেয়েটি মাঙ্গলিক দোষ ও কালসর্পদোষ যুক্ত ছিল, আমি শুধু ওই দুটি দোষের প্রতিকার করি। মেয়েটি ছিল মকর লগ্নের জাতিকা। মকর লগ্নের সাপেক্ষে অষ্টম (মারকভাব) ভাব হল সিংহ রাশি। সিংহ রাশির অধিপতি হল রবি। আর রবির কার্যকরী রত্ন হল চুনী। এবার আপনারাই বিচার করুন যে এক্ষেত্রে এই মেয়েটির দুরবস্থার জন্য দায়ী কি জ্যোতিষ বা তন্ত্রশাস্ত্র, না ওই জ্যোতিষী নামধারী ব্যক্তিটি যে ওইসব ভুলভাল রত্ন ও কবচ মেয়েটিকে দিয়েছিল শুধুমাত্র নিজের অর্থের লালসায়? এক্ষেত্রে শাস্ত্রজ্ঞান, সেবামূলক চিন্তাভাবনা কোনোকিছুই প্রতিফলিত হয়নি ওই জ্যোতিষীর কর্মকান্ডে।

উদাহরণ-3
একজন জাতকের বারে বারে কর্মচু্যতি ঘটছে, কোনো একটা নির্দিষ্ট কাজে স্থায়ী হতে পারছে না। এক্ষেত্রে জাতকের জন্মছক বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেল মীন লগ্ন, আর লগ্নের দশম ভাবে (কর্মভাব) অর্থাৎ ধনুতে অবস্থান করছে নীচস্থ রাহু। আর মিথুনে রয়েছে নীচস্থ কেতু। এই রাহু ও কেতু মিলে একটা কালসর্পদোষ তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে কর্মপতি বৃহস্পতি অষ্টমভাব অর্থাৎ তুলায় অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে জাতককে গোমেদ ও ক্যাটস্ আই পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলাফল কী হবে তা সাধারণ বুদ্ধিতে বুঝতে আশা করি কোনো অসুবিধা হবে না। এই রাহু ও কেতু যেখানে ক্ষতি করে চলেছে, সেক্ষেত্রে ওই দুটি রত্ন ধারণ করিয়ে গ্রহদুটির ক্ষতি করবার ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল না কি? এক্ষেত্রে আমি ওই জাতককে তন্ত্রের মাধ্যমে কালসর্পদোষের প্রতিকার করতে কর্মপতি বৃহস্পতিকে নানা উপায়ে বলবান করার ব্যবস্থা করি। বাস্তবটা এই যে ছেলেটি বর্তমানে গত তিন বছর স্থায়ী কর্মরত এবং কাজের জায়গায় সন্তুষ্ট।

উদাহরণ-4
একটি কর্কট লগ্নের জাতিকা আমার কাছে আসে এই সমস্যা নিয়ে যে বিবাহের পর থেকে তার স্বামীর সাথে চরম অশান্তি হচ্ছে, সবকিছুই সহ্যের বাইরে চলে গেছে, বিবাহিত জীবন প্রায় ডিভোর্সের মুখে দাঁড়িয়ে। তার জন্মছকে দেখি সপ্তম ও অষ্টমপতি শনি মেষ রাশিতে নীচস্থ, রাহুযুক্ত। আর লগ্নে অর্থাৎ কর্কটে মঙ্গল নীচস্থ অবস্থায় মাঙ্গলিক দোষ তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে দেখি এক জ্যোতিষী মেয়েটিকে একটা বেশ মূল্যবান নীলা ধারণ করিয়েছে। কিন্তু কী চিন্তাভাবনা করে তা আমি বুঝতে পারলাম না। কারণ সপ্তমপতি শনি এক্ষেত্রে নীচস্থ, আর রাহু ও কেতু যে ভাবে অবস্থান করে সেই ভাবপতির মতো ফল প্রদান করে। এক্ষেত্রে রাহু নীচস্থ মঙ্গলেরই অশুভ ফল প্রদান করবে। আমি নীলাটা হাত থেকে খুলে ফেলতে বলি। আর মাঙ্গলিক দোষের প্রতিকার করি ও সেই সঙ্গে নীচস্থ শনির (সপ্তমপতি বা বিবাহপতি) নেগেটিভিটি কমানোর কিছু শাস্ত্রীয় উপাচার করি। এর পরবর্তী সময়ে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে মেয়েটির সাথে তার স্বামীর যে দূরত্ব ছিল তা মিটে যেতে থাকে। বর্তমানে মেয়েটি স্বাভাবিক সংসার জীবন পালন করতে পারছে ঈশরের কৃপায়।

এতক্ষণ যে উদাহরণগুলো আপনাদের কাছে রাখলাম তাতে আপনাদের কী মনে হল? কখনো কি এক্ষেত্রে মনে হয়েছে যে জ্যোতিষ বা তন্ত্রশাস্ত্র এ সমস্যাগুলোর জন্য দায়ী? নিশ্চয়ই নয়। কিছু অজ্ঞ, ভন্ড, অর্থলোলুপ, বিভিন্ন আভূষণে সজ্জিত জ্যোতিষী নামধারী লোকের অসাধু কার্যকলাপ এই শাস্ত্র সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করছে, যা প্রাচীন ঋষি-মুনিদের দ্বারা বহু কষ্টার্জিত এই শাস্ত্রের কল্যাণকর অতি সুন্দর পথ থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখছে। যেসব জ্যোতিষী বা জ্যোতিষ তন্ত্র চর্চাকারী মানুষ আমরা আছি, তাদেরই দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে যাতে সৎ ও অসৎ এর মধ্যে ফারাকটা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন। আমি আরও কয়েকটা উদাহরণ রাখছি, কোন কোন লগ্নের জাতক কী কী রত্ন ধারণ করবেন না। মেষ লগ্ন-পান্না, বৃষ লগ্ন-পোখরাজ, মিথুন লগ্ন -মুক্তা, কর্কট লগ্ন-নীলা, সিংহ লগ্ন-মুক্তা ও নীলা, কন্যা লগ্ন-মুক্তা, তুলা লগ্ন-চুনী, বৃশ্চিক লগ্ন-হীরা, ধনু লগ্ন-মুক্তা ও হীরা, মকর লগ্ন-চুনী, কুম্ভ লগ্ন-চুনী ও পান্না, মীন লগ্ন-নীলা ও হীরা।

আবার দেখা যায় একই মানুষের হাতে রয়েছে এই অদ্ভুত বিপরীত ফলপ্রদানকারী রত্ন। যেমন, একই মানুষের হাতে মুক্তা ও পান্না, চুনী ও নীলা, হীরা ও পোখরাজ, প্রবাল ও নীলা, মুক্তা ও নীলা, হীরা ও চুনী ইত্যাদি। এই ধরনের বিপরীত ধর্মী রত্ন একটি মানুষ একই সাথে ধারণ করলে যে বিষময় ফলাফল হবে তারজন্য কেন শাস্ত্রকে দোষারোপ করবেন? সতর্ক থাকবেন সেইসব অসাধু মানুষদের থেকে যারা জ্যোতিষশাস্ত্রের নাম করে কোনোরকম ন্যায়-নীতির কথা মাথায় না রেখে, শুধুমাত্র অর্থের লোভে সাধারণ সমস্যাগ্রস্ত মানুষকে লুঠ করছে। তাই আমার আবেদন প্রত্যেকের কাছে যে, যখন কোনো জ্যোতিষীর কাছে যাবেন তখন আপনার শুধুমাত্র জন্মবৃত্তান্ত দেবেন। আর যিনি প্রকৃত শাস্ত্রজ্ঞানী জ্যোতিষী তিনি আপনার হরস্কোপ বা জন্মকুন্ডলী বিচার করে সব সমস্যা নিজেই বলবেন, আপনাকে কিছু নিজে থেকে বলতে হবে না। আর ইনিই পারবেন আপনার সমস্যার সঠিক সমাধান করতে।
